Friday, December 4, 2015

শাওয়াল মাসের ফযীলত ও ইবাদত



শাওয়ালুল মুকাররম
অন্যান্য মাসের মত এটিও একটি আরবী চান্দ্র মাস। সংখ্যার হিসেবে দশম মাস। রমযান মাসের ২৯ বা ৩০ দিনের সূর্‌যো ডোবার সঙ্গে সঙ্গে এ মাসের প্রারম্ভ। পরের দিন "ঈদুল ফিতর"-এর দিন, বিশ্ব মুসলিমের খুশীর দিন। ধনী গরীবকে সহানুভূতি ও সাহায্য তথা "ফিত্‌রা" দানের দিন। এটা ভোজের দিবসও বটে। বছরে যে কয়দিন রোযা রাখা নিষেধ, তন্মধ্যে এটি একটি। মুসলিম বিশ্বে আদর্শের দিক হইতে এই দিনটি অতি পবিত্র ও সম্মানিত।
এ মাসের আরেকটি বৈশিষ্ট্য এই যে, এ মাসে আল্লাহর প্রিয় বান্দাকে বিপথগামী করার জন্য বিতাড়িত শয়তান সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে এবং রমযান মাসের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণে বদ্ধপরিকর হয়। তাই প্রত্যেক ঈমানদার মোমীনকে এ মাসে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা দরাকার। অন্যথায়, যে কোন মুহুর্তে পদস্থলন হতে পারে। সে পদস্থলন থেকে বাঁচতে হলে কিছু ইবাদত বন্দেগীর প্রয়োজন, যাতে শয়তানের মুখে ছাই পড়ে, বুক চাপড়িয়ে সে যেন হা-হুতাশ করে মরে। তাই এখানে মোমীন ভাই-বোনদের খেদমতে কয়েকটি ইবাদতের কথা এবং ফযীলতের কথা উল্লেখ করা গেল।
ইবাদত ও ফযীলত
এ মাসে ৬টি নফল রোযা রাখা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। নিষিদ্ধ দিন ব্যতীত যে কোন সময় রাখা যায়, তবে প্রথম দিকে রাখাই উত্তম। এ রোযা রমযান মাসের রোযার ছদ্‌কা স্বরূপ। অজানা কোন কারণ বশতঃ যদি রমযানের রোযায় কোন প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটে থাকে, তবে এ কয়টি নফল রোযা দ্বারা তা সংশোধিত হয়ে যাবে। হাদীস শরীফে আরও উল্লেখ আছে যে, রমযান শরীফের একটি রোযায় ১০ টি রোযার সওয়াব পাওয়া যায়। তাই দেখা যায় ৩০×১০=৩০০টি রোযা রাখা হলো। অথচ বত্‌সর হয় ৩৬০ দিনে। যদি শাওয়াল মাসের ৬টি রোযা রাখা হয় তবে ৬×১০=৬০+৩০০=৩৬০টি রোযা হয় অর্থাত্‌ সারা বত্‌সর রোযা রাখার সামিল হয়। কাজেই কোন বিবেকবান মো'মীন মুসলমান এ ৬টি রোযা কখনই ত্যাগ করতে পারে না।
*****************